আমার কিছু ছোট্ট লেখা

Contributor

আমার কিছু ছোট্ট লেখা - অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ

 আমার কিছু ছোট্ট লেখা মাঝে মাঝে নোটপ্যাডে টুকে রাখি। হাতের কাছে টুকরো কাগজ, অংক খাতায়, বইয়ের ভেতর অনেকখানেই। এই লেখাগুলো অনেকসময় হারিয়ে যায়, যা হারায় তা আর পাইনা। যা পাই তা আর জমিয়ে রাখিনা। আলসেমি। জীবনে অনেক শঁখের প্রতি একটা সময় থেকে চরম আলসেমি চলে আসে, করব করব বলে করা হয়না অনেক কিছু। তবু হঠাৎ একদিন সকাল সকাল ঘুম ভেঙে এই হারিয়ে যাওয়া লেখাগুলোর একটা অংশ এখানে জমিয়ে রাখার প্রয়াস। প্রতিটা লেখাই আমার একান্ত কোনো অবসরের ভাবনা, অনুভূতি, বোধ। 

 

রুটিনবাঁধা বিষাদ আছে কিছু

আছে কিছু ভাল্লাগেনা রোগ

হঠাৎ যদি বিষাদ ঝরে যায়

যদি হঠাৎ রোগটা সেরে যায়

আবার দেখি ধরছে ঘিরে 

তাদেরও অভাববোধ!

 

যদি বলো ছেড়ে দেবো পথ,নেবো বাঁক 

ভুলে যাব প্রিয় গান।

কিছু স্মৃতি প্রেম হোক,কিছু ব্যথা ঝরে যাক 

ভেঙে যাক অভিমান।

 

 

আলোটুকু নিভে গেলে 

সমস্তটাই মিছে,

কারো আজো হয়নি যাওয়া,

কারোর ফেরা বাকি রয়ে গেছে।

 

এখন আলসেমিরা পেঁচিয়ে ধরে রোজ

এখন ভুল করেও হারাই যদি

কেউ নিবেনা খোঁজ,

কেউ জানেনা কেমন আছি,দিচ্ছে সবে ফাঁকি

এখন কেবল অপেক্ষাতে সময় চেয়ে থাকি।

 

তোমাকে দেখার খুব অভিলাষও

উড়িয়ে দিয়েছি হেসে

আশাহত ব্যস্ত পাখিরাও 

ঘরে ফেরে দিন শেষে।

 

দিনভর প্রতি কদমের পথ

রাত্তিরে গুণি তাঁরা

সময়টা খুব যাচ্ছে দ্রুত

দিচ্ছিনা পাহারা ।

 

রাত্রিজুড়ে আকাশপটে হাজার তাঁরার গান

অনেক দিনের জমে থাকা তোমার অভিমান

দীর্ঘশ্বাসে ডুবে থাকা মনের বিরানভূমি

এখন আমার গন্তব্যের শেষ প্রান্তে তুমি।

 

দিনটা নাহয় পার করেছি

বাঁচার অভিপ্রায়,

রাত্রিগুলো ঘুম কেড়েছে

কে নেবে আজ দায়?

 

ছোট্ট ছোট্ট গল্প দিয়ে বোনা 

এই সময়ের পরিধিতে

হাতে লেখা কিছু চিঠি পড়ে আছে

ডাকপিয়ন আর ফেরত আসেনি নিতে।

 

দিন পুরোটা চুলোয় গেছে

ঘুম আসেনা রাতে,

হচ্ছি ক্রমশ এলোমেলো

তোমার অজুহাতে।

 

এখন নাহয় দেখে যাও নাট্যরূপ

দুচোখ পরাণ ভরে,

একদিন সব অবহেলা ফিরিয়ে দেব

দ্বিগুণ করে।


 

এখন
দুঃস্বপ্নের ঘোরেও তোমায় দেখিনা প্রিয়তা
এখন
একগাদা কষ্ট জমানো আছে নিও তা
এখন
ঘোরলাগা দিনগুলো রাত ভেবে
সময় করছি পার
এখন
তুমিটা নাহয় আমার ছিলে
আমিটা ছিলাম কার

 

পড়া বাদ,প্রেম হোক

কথাতে না'হোক ক্রুটি

কিন্তু তুমি পড়ার জন্যে

আমায় দিয়েছো ছুটি।

 

অতঃপর এই পথ চলে গেছে

পেছনে ফেরার তাড়া,

তবুও তোমার দুচোখে চেয়েছি

হয়েছি হতচ্ছাড়া।

 

এখনো নাহয় তোমায় ভেবে

রাতগুলো ভোর করি,

যেমন ঝড়ে উলটে যাওয়া

পথ হারানো তরী!

 

কখনো বুঝিনি এই জমে থাকা

ভালোবাসা কবেকার

প্রতিটা প্রহর গুনি আমার 

সাথে দেখা হবে তার।

 

অবিচল এই পথ এই ভূমি

এই প্রহসন রাত

তোমাকে ছুঁয়ে দেব বলে বলে

এখনো ধরিনি হাত!

 

এই সময়ের পরিবৃত্তে

যায় কেটে যায় বেলা,

বাক্স ভরে জমাই এখন

তোমার অবহেলা!

 

যতটুকুই বুঝে আমার

ভেতর করো বাস,

ভালোবাসার বিপরিতে 

ঘৃণার পরিহাস!

 

ভেতর জুড়ে হাহাকার আর

বাহির দেখায় হাসি

আর যা বলো,তোমায় নিয়ে

ভাবতে ভালোবাসি।

 

এখন আলসেমি চোখে ঘুম ঘুম ভাব

ভাঙিয়ে দাওনা প্রাতে

আঁধারের ঘোরে হারিয়েছি পথ তবু

চাঁদ ওঠেনি যে রাতে

চুলগুলো করে এলোমেলো

ঠিক করে দাও যাতে,

জানো এখনও? তোমার শহরে

ঘুরি, একা খালি হাতে।

 

এই 'তুমি' আছো অজুহাতে 

নিজের চোখে দিয়েছি কত ধুলো

ডুবে যায় চাঁদ,ম্লান হয়

অবাধ্য সব রাতের গল্পগুলো!

 

কতগুলো দিন চলে গেছে

আর কত দিন আছে বাকি

তুমি পাশে থাকবে বলে

মৃত্যু অবধি বেঁচে থাকি।

 

ঘরছাড়া প্রেম তোমার জন্য

অপেক্ষার দিন গুনি

ভালোবাসি বলে যদি

আসতে ফিরে এখুনি।

 

কিছু আপসোস ঘিরে থাকে নিষ্পাপ চাওয়া

কাছে থাকা প্রয়োজন হোক বা না হোক

দিনশেষে গুনে যাই পাওয়া না পাওয়ার

কিছু বিদ্রোহী সময়ের আছে অভিযোগ।

 

তুমি মানে আমার কাছে 

ভেঙে পড়া দুর্বলতার গান

আর না করার প্রতিশ্রুতি

অনেকটুকু ক্লান্ত অভিমান।

 

গনগনে সুর্যটা মাথার উপর

এখনো রাত পোহায়নি কারো কারো,

যারা গেছে তারা দিনগুলো সাথে নিয়ে গেছে।

 

কারোর জন্য দুর্ভাবনার রাত

অপেক্ষমাণ দিন যাচ্ছে চলে

অবহেলাভরা এই প্রেমে

তাকে নিঃসঙ্গতা বলে।

 

এই যে এখন ঘুম ভুলে গেছে রাত

ভোর হয় মধ্যদুপুরে,একাকি

এখনো সত্যে ঢাকা মিথ্যেগুলোর

মোড়ক উন্মোচন বাকি।

 

ধুসর সময়,ক্লান্ত অভিমানে

বাড়িয়ে যাচ্ছে ঋণ

কেউ ভালো আছে,শুধু

আমারই রঙচটা দিন!

 

কেন এত ব্যকুলতা তবু

কাটেনা তোমার মোহ

দিনরাত একাকার করে

মনে মনে চলে বিদ্রোহ!

 

রুটিনবাঁধা অনিয়মগুলি

সাথে নিয়ে আছি বেঁচে

যে গেছে সে'তো সবটুকু

সাথে নিয়ে পালিয়েছে!

 

কাছাকাছি ভেবে যত ছুঁতে যাই

ততটা হারাই রোজ

তোর পাড়াতে যাইনা এখন

নিচ্ছিস আমার খোঁজ?

 

যেখানে সারাক্ষণ ভয় হতো

কীভাবে আগলে রাখি

এখনো তুমি ছাড়া

বেঁচে থাকা শেখা বাকি!

 

শুধু চাই আরেক পশলা বৃষ্টি হোক

ধুয়ে যাক ব্যথার ধুলো,

ভুল মানুষের কাছে ভুল চাওয়াগুলো।

 

মুছে যাওয়া দিন ঘুচে যাওয়া রাত

যতো বাড়িয়েছি ধরোনিতো হাত

একঘেয়ে শুনে, চলা কোন গান

মেপে যায় কার কত অভিমান!

 

একসাথে থাকা একসাথে বাঁচা

ছিলো এরকম সন্ধি

সত্যের ঢাকা প্রেম, ছিলো কাঁচা

মিথ্যের হাতে বন্দি।

 

'মায়া' একটি ভয়ংকর ব্যাপার।

 মায়া থেকে আশা আকাঙ্ক্ষা জাঁগে।এই আশা আকাঙ্ক্ষা প্রবল অনিশ্চয়তায় থাকলেও মায়া কাটিয়ে ওঠা যায়না।

আমরা কিছু বা কারোর মায়ায় ভয়ংকরভাবে বন্দী হয়ে থাকি!

 

ভুল করে ভুল খুঁটি গেড়ে যাই

জীবনের বাঁকে বাঁকে,

কেউ চিরতরে হারালেও

কে'বা তবু দায়ী থাকে?

 

এই যে হুট করে বেড়ে ওঠা দিন

হুট করেই গেছে ক্ষয়ে,

কে'বা ভালোবাসি বলে আর 

পাশে থাকে নির্ভয়ে!

 

এতটা আগলে রাখার পরেও

নিভে গেছে আলো

এখন আর জানতে ইচ্ছে করেনা

কতোটা বেসেছো ভালো!

 

হঠাৎ করে গেয়ে ওঠা দুয়েক কলি গানে

যায়'তো বোঝা তুমিহীন এক অনুভবের মানে

ভুল করেও যখন বুঝি পথ হারিয়ে যাওয়া

সব হারিয়ে যাক তবুও তুমিই রবে চাওয়া!

 

যে পথ আমায় ফিরিয়ে দিয়েছে

আমি,সে পথে ফিরেছি বারবার

হারিয়েছি যেটুকুর ছিলো প্রয়োজন

যেটুকু ছিলো হারাবার!

 

এই যে কখন নিভৃতে পড়েছি তোমার প্রেমে,
তাইতো এখন তোমার খোঁজে পথে এসেছি নেমে!

 

ভুল ভেবে ভুলতে বসেছি যারে,

মনের দরজায় এসে,সে ই

কড়া নাড়ে বারে বারে।

 

আমাদের দিনগুলি ছিলো,আছে

একটা জীবন যে স্মৃতি নিয়ে বাঁচে!


নীলাকাশ,মেঘ,এক ফালি চাঁদ যায় হেসে,

কেউ এসে,পাশে থাকতো যদি ভালোবেসে!


একমুঠো রোদ্দুর মাখা দিন

হাসি দিয়ে ঢেকে রাখা ব্যথাগুলো

জীবনের এপার-ওপার জুড়ে

একঘেয়ে হয়ে আছে অগোছালো 


অপবাদ দাও,পাথর জমেছে বুকে

কীভাবে বোঝালে বুঝবে তুমি

কতোটা আছি'যে সুখে।


যত জমা স্মৃতি ছিলো ব্যথা অভিমানী,

ডুবিয়ে দিলাম স্রোতের জলে,ধুয়ে দিয়েছি গ্লানি!


একটু একটু করে বেঁধেছিলাম

যে প্রণয়ের সুতোখানি

সময়ের স্রোত,সে'তো নিয়ে গেছে ছিঁড়ে,

জীবনটা অভিমানী।


নতুনত্বের নামে আটকে রয়েছি

এক ঝাঁক মুখোশের ভীড়ে

সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে এসে

উঠেছিলাম যে তীরে!


যেখানে খুঁজেছো সুখের ছায়া

রূপসী প্রেয়সী যারে,

দেখে নাও প্রাণভরে যাওয়ার আগে পরপারে!


একটি জানালা মানে 

গ্রীল ধরে আঁকড়ে থাকা,

এক জীবনের আকাশজুড়ে

ব্যর্থতাদের আঁকা।


আমি কেবল বলেছিলাম

হাতটা ধরো, হাটি একসাথে,

যে পথে মরে গিয়ে বেঁচে গেছি বারবার

ক্ষত বিক্ষত আঘাতে আঘাতে!


এইযে ক্লান্তির বিছানায় প্রশস্ত এক নির্ঘুম রাত,

কখনো কী ভেবছিলো একটা মানুষ পাহারায় থাকে?

দূরত্বের দুপ্রান্তে বসে,দুজন দুজনকে আঁকে!


আমার অবয়ব তোমার দিনগুলিতে আবার ফিরে।যেতে চায়,

মন সুর্যাস্তের হলুদাভ আলোয় তোমার প্রতি তাই হাত বাড়ায়,

তুমি এসো,একটি রুক্ষ বুকের ছায়া হয়ে এসো তুমি

তাইতো আমি তোমার আসার অপেক্ষার দিন গুণি।


ভালোবাসা তুমি ভোরের কচি ঘাসের ডগায়

শুভ্র শিশির বিন্দু

নড়লে ঝ'রে যাওয়ার ভয়,

অবিশ্বস্ত দুরত্বের চাপা অভিমানে

মিথ্যের জল কী আর এমনি ঘোলা হয়!


এক জীবনের ছোট্ট হিসেব খাতায়

পেরিয়ে এসে পাপ পরাজয় স্মৃতি 

কতটুকু আর ভালো হতে গেলে

বদলাবে এই সমাজ নামের নীতি?



হাহাকার বাড়ে,অচেতন 

রাত হয়েছে নিঝুম

জেঁগে থাকে রাত,দিনভর

পুষিয়ে নিচ্ছি ঘুম!


ক্ষণ যায় অদ্ভুৎ এলোমেলো 

দুঃস্বপ্ন ঘেরা রাতে

শিশির মাড়িয়ে পথ,হাঁটা 

হয়না এখন প্রাতে 

এখন আমি সব ভুলেছি

তোমার অজুহাতে!


এই হাতটা আমার চেনা,

এই হাতের সাথেই তোমার আমার

ভাবের লেনাদেনা!

তোমার স্পর্শহীনা, 

আমি আমার ভেতর আছি কিনা

বুঝতেও পারিনা!


এলোমেলো কালো স্বপ্নের ভিড়ে

ধরে আছে মাথা,

লিখব বলে স্বপ্নগুলো

হয়নি খোলা খাতা!


একদিন সবার মতোই 

হারাবে আমাকে তুমি,

ফেলনা হওয়া এই 'আমি'কে

আপন করবে ভুমি!


আমি এখনো তোমার আছি

যেমন ছিলাম আগে,

ভালো এখনো তোমায় বাসি

প্রেম অভিমান রাগে!


সময় পথের শেষটা কোথায়,

কোথায় গিয়ে থামি?

সবার চেয়ে আমার কাছে 

আমি নিজেই দামী,

এই আমিটাই আমি!


চমকে দিয়ে বেড়িয়ে আসে

হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস 

আমার ভেতর নেইযে আমি,

অন্য কারো বাস!

আমি জ্যান্ত মানুষ,লাশ!



দুরত্ব বাড়িয়ে কার কতটুকু

হয়ে গেছে লাভ?

সে বোঝেনি, অন্ধকার মানেই 

আলোর অভাব!


রাত্রী হয়েছে চুপ

একরাশ কুয়াশা- হতাশা এসে জমে 

দীর্ঘশ্বাসের গভীরে তলিয়ে যাচ্ছি ক্রমে ক্রমে, 

বিষাদ বাড়ছে খুব

তাও যদি এসে দেখা দিতে বিভ্রমে!


জীবন যেখানে শুরু করা বাকি

আমি সেখানে এসেই থমকে থাকি!


তুমিহীন এক শূণ্যতায়'ই ভরে গেছে সব,

বুকে বালিশ চেপে ধরে করছি অনুভব!


সময়টা খুব কঠিন,

সময়ে ম্লান হয় অভিমানও

অপেক্ষায় জীবন থেমে থাকে, জানো?


একান্ত নিরব-নিথর ছিলো,

যে আমার মনের খবর জানে

যে আমায় মনের কথা বলেছিলো কানে কানে 

আমাদের

শেষ দেখা হয় এক ধুলো ওড়া অগ্রাণে...


ভুল সময়ের দ্বারে বারবার

নেড়ে যাচ্ছি কড়া,

সব ছাড়িয়ে তোমার জন্য 

আমার ভেঙেপড়া!


এই বলে সরে আসি,

'সব আমারই দোষ'

আমি 'কেউ না' দলের মানুষ!


দিনগুলি শুরু হয়েছিলো তবে  

ভালোবাসা ছিলো সেই কবেকার,

ভালোবেসে যাবো জন্মান্তর, আর 

করে দেবো হাজার বছর পার!


রাতজাগা পাখি ভুলে গেছে তার 

দিনের সুর্যটাকে

ঘুমঘোরে তার আলস্যতার

দুঃস্বপ্নদের আঁকে,

ভালোবেসে কেউ কী তাকে ডাকে?

কেউ কী তাকে ডাকে?


উপর জুড়ে হাসির মুখোশ 

ভেতর বইছে ঝড়

'ভালো আছি' লোক দেখানো 

মিথ্যে রুপান্তর

জানো?

এখন অগোছালো দিনগুলো সব

কাটছেগো নড়বড়!


জ্বলজ্বল শিশির কণা পদদলিত হয়

মাথা উঁচাতে চাওয়া ঘাসে,

ছোট্ট জীবনটুকু এভাবে নষ্ট হয় 

অবিশ্বাসের আভাসে!


দিন গুনে যাই একা,

সবাই বলে পাশে আছি, তাও

যায়না তাদের দেখা!

ডুব দিলে সব ফুটে ওঠে বিভেদ সীমারেখা...


সব ঢেউ কি আর খুঁজে পায়

সমুদ্রের পার!

না হারালে কেউ পরোয়া করেনা

আপন মানুষ থাকার...


জীবন মানে ব্যর্থ অভিসার

হারানোর বাকি কিছুই থাকেনা যার!



অলস মনে স্বপ্ন জমিয়ে 

দিন করে দেই পার

 ব্যর্থতাদের বাদ দিলে,বাকি

জীবন অপেক্ষার!


যতটুকু অসহায়- হোক যতটুকু ব্যথা 

একটা মানুষ তবুও বাঁচে,

দিনশেষে হার মানে নিঃসঙ্গতার কাছে।


সবটুকু বিশ্বাস দিয়ে দেই যাকে আগে

বিশ্বাস ভাঙার জন্য সে'ই উঠে পড়ে লাগে।


আলস্যে যাচ্ছে কেটে

ধুসর কুয়াশা ঢাকা দিন,

কে জানে অনিশ্চয়তার জীবন

কেটে ওঠা কতোটা কঠিন!


তোমার শহরে ধুলো উড়ছে মেঘে

অন্য শহরে আমি আছি রাত জেঁগে



ছোট্ট জীবন, 

নিজেকে খোঁজার আগেই অন্যকে খুঁজি,

নিজেকে বোঝানোর আগেই হয় ভুল বোঝাবুঝি।


অথচ তোমায় নিয়ে সন্ধ্যে হওয়ার ভয়!

চোখটা মেলে যখন দেখি সন্ধ্যে হয়েই রয়...


মৃত্যু বর্গা রাখি এক ঝাঁক দুঃস্বপ্নের কাছে,

কেউ তাও বিপরীত কারো আশা নিয়ে বাঁচে।


শোক নেমেছে মনে,নিরব কাটে বেলা

গুরত্বের বিপরিতে পাচ্ছি অবহেলা...


অবহেলা ফিরিয়ে তাও গুরত্ব নিচ্ছি কেড়ে,

আমি হারালে একদিন তুমিও নিজের কাছে যাবে হেরে!


অপুর্ণতা তুমি থেকো সবসময় 

আমার পাশে আমার কাছাকাছি,

আমার মন খারাপ তাই 

মন খারাপ নিয়েই আমি ভালো আছি।

অপুর্ণতা তুমি ক্রমে রোজ বেড়ে যেও

কষ্ট যতো ইচ্ছে আমার হোক,

তাও পাশে থেকো কাছে থেকো

নেই কোনো অভিযোগ।


মেঘের দেশে চাঁদ ডুবেছে

চাঁদের আলো ফিকে 

ঘোরের মতো আসছে তেঁড়ে

কিছু আমার দিকে

কী আসে আর কী চলে যায়

যায়না কিছু দেখা 

মনের ভেতর মায়ার বাঁধন 

ছিঁড়ছে সীমারেখা 


মানুষ বাঁচে মরে, বাকি

স্মৃতি রেখে যায় পিছু

আমি না থাকা পৃথিবীরও 

যায় আসেনা কিছু।


সন্ধ্যা নেমে গেছে

পাখিরা ফিরেছে নিজের বাসার গাছে

খুতখুতে মন জ্বালাচ্ছে খুব

কী জানি কী করার বাকি আছে!


ক্যালেন্ডারে বছর দিলো ইতি

বদলাবেনা বদলে যাওয়ার নীতি।

দিনগুলোতো একইরকম যাবে

কী আসে যায় কে কীভাবে ভাবে!


কেবল ভেবে গেছি যা হয়েছে তার

সবকিছু যাক চুকে,

তোমায় দেবো বলে এক সমুদ্র প্রেম 

লালন করেছি বুকে। 


মানুষ নিজের জন্যে নয়

আদতে পরের জন্য বাঁচে,

হার মেনে যায় শেষে

নিজের অবাধ্যতার কাছে।


রাত বাড়ে, হাই ওঠে,ঘুম নেই তবু-

আসো,প্রিয় ঘুম ডেকে বলি।

ঘুম বলে, "আমি ঘুমপ্রিয়দের এড়িয়ে চলি!"


প্রিয় আকাশের লক্ষ তারারা 

প্রলাপ বকছে কানে

এইতো ভালো থেকো ভালো আছি বলে

জ্বর নামে অভিমানে,

প্রলাপ বকছি আমিও-

প্রিয়তা তুমি খেয়ে ঘুমিও।



একমুঠ ধুলো পায়ে ফের ঘরে ফিরে আসি

একরাশ অবহেলা নিয়ে প্রাণখুলে হাসি

ধুলো, তা মুছে দেয়া যায়।

অবহেলা কী দিয়ে এড়ায়!


'বড্ড অসহ্য'- কেউ বলে যায় কানে,

মৃত্যুহীন এ বেঁচে থাকা মানে!


প্রশ্ন করেছি নির্ঝঞ্ঝাট মেঘেদের,

কুয়াশা-শিশিরের পথে হেঁটে 

আর কতোটুকু পাড়ি দিলে এই

অসহ্য দুর্যোগ-পথ যাবে কেটে।


মানুষ ভালোবাসে বলে ভুল করে বারবার 

দিনশেষে বাকি কিছুই থাকেনা হারাবার


কতোটুকু ভালোবেসে গেছি

কেবল সেটুকু দেখি

না দেখলেও তোমার দিন

কেটে যাবে ঠিকই...


উড়ে যাওয়া পাখিরা হারায়

হারায় সমুদ্রেরও ঢেউ

মিথ্যে চলে যাবো বলেও

একদিন ঠিকই চলে যায় কেউ।


স্বপ্নে তোকে ভীষণ ভয়ে ছুঁই 

স্বপ্নে রাখি হাতখানা তোর হাতে

ক্লান্তি ভরা দিন কেটে হয় রাত

রাত কেটে যায় দিনের অপেক্ষাতে।


আকাশটা খুব মেঘলা ছিলো তাই

তুই বৃষ্টি হয়ে ঝরবি বলে 

মাটি হয়ে যাই!


হয়তো সেখান থেকেই হয়েছিলো শুরু

যেখানে হয়েছে শেষ

মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলে

অবিশ্বাস আর বিদ্বেষ...


কেবল আমি অপেক্ষাতে থাকি

এই শহরে সন্ধ্যে হওয়া বাকি 

কখন আবার রাতটুকু পার হবে

অপেক্ষাটা নতুন করে করবো শুরু তবে...


বাঁচার তাগিদ মায়ার টানে

তোমার তীরে ভিড়ি

নিয়তিটা উলটো বলে  

মৃত্যু নিয়ে ফিরি...


শূণ্য মায়ার টানে,

আকাশ কী আর জানে!

আকাশ সমান ভালোবাসার 

সীমানা কোনখানে...


এভাবেই দিনগুলো গিয়েছিলো কেটে

রাত্রির ঘুম যত্নে তুলে রাখা

কালো ছায়া-মেঘে ঢাকা,

একরাশ ভালোবাসা বুকে তুমিহীন 

একপাশ ছিলো ফাঁকা...


তারা ভালো আছে 

যাদের ভালো থাকার কথা ছিলো আমাকে ছাড়াই,

 কোলাহলে ডুবে

প্রিয় শব্দগুলোকে হাতড়ে বেড়াই...



স্ট্রীট লাইট লোডশেডিং 

আর রাস্তার কোলাহল

মেঘের আড়ালে মিটিমিটি জ্বলা

অদেখা তারার দল 

জানেনা হৃদয় কতোটা ঘৃণায়

কতোটা ভালোবাসি

তবু ইচ্ছায় হুট করে তোর

শহর ঘুরে আসি...



ঘুমঘোরে সব স্থির হয়ে আছে

সময় যাচ্ছে কেটে

ফিরে আসাটাও থামিয়ে দিয়েছি

অর্ধেক পথ হেঁটে।



দু-পায়ের বল,

ব্যস্ততা আর জোর করে ভাত গেলা দিন

পুষে রাখি যতখানি তবু

ঘৃণা তো মূল্যহীন...


তারে ভেবে বসে নিরবধি 

শক্তি হারালো বোধ

এখন আপন করেছে আমায় 

ধুলোবালি মেঘ- রোদ।


কাজ নেই তবু 

হুদ্দাই জোর করে জেঁগে থেকে ফোন টিপি

ভাগ্যের পেছনে লুকাই ইচ্ছের ঢিপি...


কেউ না থাকার অভাবটুকু 

যাচ্ছে যখন বেড়ে

আঁধারটুকু আপন করি

আলোকছটা ছেড়ে।


জীবন- দিন কেটে গিয়ে রাত পোহাবে কবে 

জীবন- ঘুম নামিয়ে ফোনে চার্জ শেষ হবে


প্রহর গুনে গুনে বেড়েছে

দুরত্বের প্রতিপাদ

এখন রাত হয়ে পাহারা দিচ্ছি

আকাশের চাঁদ;

আকাশ তবু বৃষ্টি হয়ে কাঁদে,

আমি বৃষ্টি ভালোবাসি

তুমি আছো সেই চাঁদে।


ভুলের পাহাড় ডিঙিয়ে করি ভুল

ভুল করাটা থামিয়ে দিতাম যদি

বৃষ্টি হয়ে ঝরতো না'কি ফুল

এখন ঝরে নয়ন থেকে নদী;

পেছন ফিরে প্রশ্ন রাখি তাও-

'ভুল করাটা থামাচ্ছো গো কবে?'

'আর হবেনা'- বলা নতুন ভুলে

কেউ তবু রয় বেঁচে অনুভবে। 




শুভ্র মাখা ফুল, তাও ঝরে যায় প্রাতে 

চাইবোনা আর, বলছি শুনো যাতে

আবার ক'বে হাত রাখিবো হাতে, 

 আমায় মনে রাইখো তবু তোমার মোনাজাতে।


অল্পতে ককিয়ে ওঠা জীবন

অল্পে হারানোর ভয়,

সবটুকু মেনে বাঁচার অভ্যাস

করে নিতে হয়।


থম মেরে থাকা আকাশের বুকে

মেঘেরা ভাসায় ভেলা

আসি বলে মাঝপথে থেমে যায়

বৃষ্টির অবহেলা

মন খারাপের তপ্ত রোদেই 

উঠছি আমি ঘেমে

ভুল করে যদি এসে দেখা দিতে 

বারিধারা হয়ে নেমে।


একান্তে চেয়ে পাওয়া হলোনা না হোক

রঙচটা দিন গুনে চেয়ে থাকি অপলক~


Tags